আভাস
দ্য বিটলস। ১৯৬০ সালে লিভারপুল থেকে শুরু কইরা এই অখ্যাত ব্যান্ড কীভাবে দুনিয়া কাঁপাইলো আর ৬৪ সালে ব্রিটিশ ইনভেশন খ্যাত এক সফর ক্যামনে কইরা পুরা জেনারেশনের কাউন্টার কালচাররে একটা শেপে নিয়া আসলো, সেইটা নিয়ে দিস্তা দিস্তা লেখা সম্ভব। কিন্তু না, আজকের আলাপ বিটলসের চারমূর্তি, ফিফথ বিটলস আর তাগোর এক বিশেষ বন্ধুরে লইয়া ঘটনার ৫৫ বছর পরেও এহনো হালে পানি পাইতাসে যে প্রশ্ন সেইটা হইলো বিটলসরে প্রথম গাঞ্জা খাওয়াইলো কিডা? এর একটা কারণ হইতে পারে এই রক মিথের পাত্রপাত্রীদের একাংশ এহনো বহাল তবিয়তে বাঁইচা আছে। আর হ্যারা সবাই মিলা কলম, ক্যামেরা আর পত্রিকাওয়ালোগোর পাল্লায় পইড়া গত অর্ধ-শতাব্দীতে সময় সময় এই ঘটনার এমনই এক ধোঁয়াচ্ছন্ন বয়ান খাড়া করাইসেন যে, এইটারে পাত্তা না দিয়া আর উপায়ও নাই। আমেরিকান ফোক ওয়ার্ল্ড আর ব্রিটিশ রক্যানরোলের এই যে কলিশন তা কী গাঞ্জার জোরেই পরের দিনগুলাতে বিটলস এর লিরিক আমুল বদলাইয়া দিলো? ফোক সাউন্ড থুইয়া ডিলানের মিউজিকে ইলেক্ট্রিক সাউন্ডের আবির্ভাব হইলো? আদৌ এইটা বিটলস এর প্রথম গাঞ্জা কিনা কিংবা ডিলানরেই বা মাল খাওয়াইলো কিডা? এলা বিষয় নিয়া বিস্তর বিতর্ক হইসে, হইতেসে এবং আরো হবে। ইউটিউবে এ সংক্রান্ত অজস্র ভিডিও দেইখা এবং নানান ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাঁটির পর (দেখতে চাইলে) বুঝতে পারলাম এই মিথ আরো বহুকাল রক প্রেমিগোরে বিনোদন দিবে। কেননা, রক মিউজিক নানান পারমুটেশন কম্বিনেশন মিলায়ে এহন এমন এক ডাইমেনশনে পৌঁছাইসে যে, নতুন কিছুর চাইতে ওল্ড স্কুল রকের পুরানা কাসুন্দি ঘাঁইটাই বেশি মজা পাওন যাইতেসে। এই ঘটনা বিশাল, এই লেখায় হালকার উপরে একটা ঝাপসা ধারণা দেওনের চেষ্টা করা হইলো।
মূলালাপ
১৯৬৪ সালের
অগাস্ট মাসে, দ্য বিটলস তাগোর ফার্স্ট ইউএসএ ট্যুরে যায়। সানফ্রান্সিসকোর কাউ প্যালেসে শুরু কইরা তাগোর অভিযান গিয়া থামে নিউইয়র্কের প্যারামাউন্ট থিয়েটারে। অগাস্টের২৮-২৯ তারিখ তারা নিউইয়র্কের ফরেস্ট হিল স্টেডিয়ামে বাজাইতে গিয়াই বব ডিলানের লগে তাগোর প্রথম দে
খা আর বন্ধুত্ব। লেখক আল-আরোনোউইটজ দুই পার্টিরে পরিচয় করায়ে দেয় নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ডেলমনিকো হোটেলে। দ্য ফিফথ বিটল হিসেবে খ্যাত ডেরেক টেইলর’র মতে, এই হোটেলে বিটলসের অবকাশ যাপনের দুই দিনে তাগোর নামে হোটেলের সুইচ বোর্ডে প্রায় দুই লাখ ফোন কল আসছিলো। ফ্যান ফলোয়ারগোরে ব্যারিকেড দিয়াও ঠেকান যাইতেসিলোনা। তাই লবি আর করিডোরে পুলিশ টহল মারতেসিলো কনটিনিউয়াস। ফুল অথরাইজেশন ছাড়া হোটেলের সাত তলায় বিটলসের সুইটে পৌঁছায় সাধ্য কার? আর সেই সুইটেই ২৮ তারিখ এমন এক ঘটনা ঘটে যেটা পরবর্তী সময়ে রক মিউজিকের হিস্ট্রি চেইঞ্জ কইরা ফ্যালে।
ডিলান রুমে এলে লেনন তারে গরম গরম ড্রিঙ্কস অফার করে। কিন্তু ডিলান চাইতেসিলো সন্তার কোনো ওয়াইন যদি পাওন যায়। বিটলসের তৎকালীন ম্যানেজার ব্রায়ান ইন্সটেইন ডিলানরে কইলো, মাফ করবা। তুমি যা চাইতেসো তা আমাগো কাছে নাই। মাগার বেশ ভালো কিছু ফ্রেঞ্চ ওয়াইন, স্কচ আর কোক আছে। বিটলস ও ডিলানের লাইগা ওয়াইন ম্যানেজ করার জন্য ইভান্সরে (হ্যাগো রোড ম্যানেজার) তাগাদা দিতে লাগলো। কিন্তু, ডিলান যা আছে সেইটা লইয়াই সন্তুষ্ট রইলো। সে কইলো, আমরা বরং গাঞ্জাই খাই । বিটলস আর ইন্সটেইনের মইধ্যে ইশারা বিনিময় হইলো। ব্রায়ানরে দেইখ্যা মনে হইলো সে নিমরাজি; বাট একটু পরে খোলাসা হইলো যে ব্যান্ডের কেউ কখনো গাঞ্জা টানে নাই। যদিও পরে এক সাক্ষাৎকারে হ্যারিসন কইসিলো, তারা আগেও একবার গাঞ্জা খাইসিলো, মাগার ঠিক নেশা হয় নাই বা তারা ধরতে পারে নাই আসলে ঘটনাটা কী। বিটলস জীবনেও গাঞ্জা খায় নাই এইডা হুইনা ডিলান হেভি টাস্কি খাইলো। কারণ সে ধইরাই নিসিলো ও Wanna Hold Your Hand গাঞ্জা খায়া লেখা। গানের ভিতর ওরা যেখানে ‘I can’t hide’ গাইতো সেইটারে ডিলান এতোদিন ‘I get high’ জানতো!
যেহেতু বিটলস কহনোই নতুন কিছু এপেরিয়েন্স করতে পিছপা হয় নাই, তাই ডিলানের প্রস্তাবে তারা সানন্দে রাজি হইয়া গেলো। ডিলান জয়েন্ট ধরাইয়্যা লেননের হাতে দিলে সে তার ‘রয়েল টেস্টার’ রিংগোর হাতে সেটা পাস করলো। কারণ সে মাল ভালো চিনে! অবশ্য রিংগোরে নিয়া বাজারে মোটামুটি এইটাই চালু আসিলো যে, সে মাল খায় আর ড্রামস বাজায়। একটান দুইটানে রিংগো একলাই পুরাডা মাইরা দিলো। কারণ জয়েন্ট যে নিমাই টানে শেয়ার কইরা খাওনের জিনিস এই ট্রেডিশন হ্যার জানা ছিলো না। কী আর করা, ডিলান ব্যাক্তের লাইগা একটা কইরা জয়েন্ট রোল করলো (মতান্তরে ম্যাল ইভান্স, কজ ডিলান নাকি ভালো রোল করতে পারতো না)। হেইদিন গাঞ্জা, মদ, ওয়াইন, সবকিছু মিলা ব্যাক্ততে এমন ভীম টাল হইসিলো যে, ইন্সটেইন কওয়া শুরু করলো, “ঐ আমি তো উড়তাসি রে! ধর ধর আমারে, সিলিংয়ের উপরে উইঠা গেলাম!” আর ম্যাকার্টনি দার্শনিক মার্কা সব কথা কইতেসিলো। সে ম্যাল ইভান্সরে কইতেসিলো, সে যা যা কইতাসে সব যেন লেইখা রাখে। কিন্তু কাগজ কলম পাওন যাইতেসিলো না। পরে এক টুকরা যাও পাওন গেলো আর সেইটায় যা লেখা হইলো তা দেইখ্যা পরদিন সকালবেলায় ব্যাক্তের আক্কেলগুড়ুম! কাগজের মধ্যে শুধু একটা লাইনই লেখা ‘There are seven levels ! এর মানে কী আর কেনোই বা লেখা হইসে সেইটা তৎক্ষণাৎ বাইর করা সম্ভব হইলো না। সবাই খালি এইটুক বুঝলো যে, গত রাইতে ব্যাক্তে ব্যাপক চোদ ছিলো!