রকাহোলিক

রক অন… কিপ রকিং…

রকাহোলিকের প্রথম সংখ্যা প্রকাশের পর বিপুল সাড়া ও সমালোচনা পেয়েছিলাম আমরা। সাড়া পাওয়া আমাদের জন্য দরকার ছিল। কিন্তু তার ফলে কিছু চাপও কি সৃষ্টি হয়নি! সেসবকে পাশ কাটিয়ে দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হলো এবার। আমাদের বিশ্বাস মিউজিকের কোনো দেশ নেই। দেশ নেই রক মিউজিকের। সুর আমাদের এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়েছে।

রক মিউজিকের বিবর্তন তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া যাবে দ্বিতীয় সংখ্যায়। আলোচনা হয়েছে জনরা-সাব জনরা নিয়ে। সময়ের আবর্তে পরিবর্তন হচ্ছে নাগরিক দুনিয়া। পরিবর্তন হচ্ছে মিউজিকও । গীটার এক সময় নিজেই বিপ্লব হয়ে ওঠেছিল। এখন সে ধারা কি তার বজায় আছে? গত এক দশকে কতটুকু হাঁটলো রক মিউজিক? নাকি সেই পুরনো থেকে ধার করে ফিউশন হিসেবে চালানো হচ্ছে? সেসব নিয়ে আজ ভাবা যাক।

নতুন কিছু যে হচ্ছে না তা নয়। তবে হিসেব করলে দেখা যাবে তা হাতেগোনা। প্রযুক্তির কল্যাণে রক প্রেমিরা আজ প্রচুর শুনছে। কিন্তু দেশে হুট করে কমে গেছে স্টেজ পারফম্যান্স। আমরা আশা রাখি, নতুন কোনো রকার এসে আমাদের এই হতাশার জীবনকে গিলে নিবে। গীটারের রাগী সুরে আমাদের হৃদয় প্রেম লড়াইকে করে তুলবে প্রাসঙ্গিক। মিলিয়ে দেবে ‘প্রাণে প্রাণ।

রকাহোলিকের প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল মাকসুদুল হকের ‘বাংলাদেশের রক ইতিহাস, দ্য লেগাসি অফ আজম খান (প্রথম পর্ব-১)। লেখাটি বাঙলায়ন করেছিলেন তানভীর হোসেন। তবে দ্বিতীয় সংখ্যায় লেখাটির দ্বিতীয় পর্ব থাকছে না। ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারার কারণে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। অবশ্য আনন্দের সংবাদ হচ্ছে, সম্পূর্ণ লেখাটি এবার বই আকারে প্রকাশিত হচ্ছে।

আমরা রকাহোলিক দিয়ে বাংলার রক প্রেমিদের ক্ষুধা মেটনোর ভার নিইনি । এটা নিতান্ত শখের বশে করা। কোনো বিপ্লবের ইচ্ছে-অনিচ্ছা নিয়ে রকাহোলিক প্রকাশ নয়। আমরা যারা ভালবাসি রক মিউজিক কিংবা যারা ভালবাসি গান শুনতে, তেমন এক ভালবাসার জায়গা রকাহোলিক।

রক অন… কিপ রকিং…

তানভীর হোসেন ও উপল বড়ুয়া